Kriyabans must strengthen their belief that their birth, like everything else, is in accordance with the will of the Creator. Many kriyabans express that despite practicing Kriya daily, they struggle to feel motivated or inspired. However, it is important to understand that Kriya is not simply a tool for personal fulfillment or liberation. Rather, as Sri Aurobindo said, it is "an effort to bring divine power, light, and consciousness into you, and to elevate yourself to a superhuman state."
Among the core principles of yoga, the most essential are faith, deep yearning, complete submission, and non-possessiveness. While the physical state of human beings is ready for evolution, the mind often resists growth, preferring to remain within its limits. Under the influence of Maya (illusion), we forget the purpose of our birth and become enslaved by arrogance and power. Every human being seeks happiness, but this very desire often attracts grief and sorrow.
Kriyabans should aim for divine consciousness. When the mind becomes intoxicated with divinity and sustains that state, divine knowledge will manifest. It is essential to rise above conditioning, bargaining, and vanity while maintaining unwavering faith. The tendency to judge or criticize others must be abandoned. Kriyabans should remember the purpose of receiving Kriya and use it as a tool to elevate their consciousness toward the divine.
The person who imparts this wisdom is the Guru, and those influenced by these words are the disciples. The Guru is deeply connected with the disciple, and one of the first conditions of this relationship is obedience. The ego, or "I," is the force that keeps the disciple away from divine knowledge. In this state, it is difficult for the disciple to grasp the true meaning of obedience. The ego acts as a veil, obscuring pure consciousness and creating misconceptions about oneself and the world.
A key quality of a disciple is obedience to the Guru. For many, the concept of obedience may feel restrictive, but true obedience involves calming the restless mind, abstaining from negative habits, and aligning oneself with righteous goals.
To be a true disciple, one must surrender the restless mind and its desires to the Guru. At the time of Kriya initiation, the disciple vows to "obey these laws with all my heart." However, the ego does not always comply with this discipline. By following the Guru's instructions and practicing Kriya daily, the disciple’s outlook gradually becomes purified. The disciple then detaches from past mistakes and easily discerns between right and wrong. The Guru watches over the disciple, guiding them when the time is right, in alignment with the disciple’s progress.
Through this process, the disciple transforms and becomes filled with reverence, strength, and humility. Learning to respect others brings reverence, and this reverence leads to humility.
When a Kriyaban respects the Guru as a representative of God and recognizes all people as images of God, spiritual prosperity begins to flourish. The method given by Gurudeva should be practiced with reverence and faith. While many may struggle at first to perform Kriya correctly, consistent and moderate practice brings results.
Some kriyabans mistakenly believe that simply receiving initiation or following the Guru entitles them to the Guru’s grace, expecting the Guru to do everything for them. However, ancient scriptures beautifully clarify this misconception. To attain spiritual strength, a seeker must make one-quarter of the effort, another quarter is received through the Guru’s grace, but complete spiritual fulfillment requires the blessings of God. With a seeker’s efforts and the Guru’s grace, half of the journey can be completed, but the ultimate attainment of the divine goal depends on God's blessings.
Like God, the power of the Guru is omnipresent. The Guru is omniscient, knowing the thoughts of every devotee, disciple, and Kriyaban. Gurudeva used to say, "I may not mentally connect with reluctant Kriyabans, but I remain deeply connected with those who have given me the right to guide them or seek my advice." The Guru, being always connected with the disciple, can perceive their past and future, guiding them accordingly with spiritual powers.
If the disciple wishes to receive the Guru’s transmitted power, they must remain pure, inquisitive, and diligent. When both the Guru and the disciple become enlightened, their spiritual knowledge becomes fully illuminated, transforming them into true Gurus and disciples.
The Guru’s power is ever-present. It is not limited to specific circumstances, nor are the effects of the Guru’s blessings temporary. By the Guru’s will, disciples can experience the Guru’s presence eternally.
At the time of Kriya initiation, a divine exchange occurs between the master and the disciple. This exchange is bound by eternal love, obedience, and a condition: the commitment to continuous practice of Kriya. This practice strengthens the bond of consciousness between the master and disciple, leading both toward higher spiritual realms.
Original Article as written in Bengali by Gurudev:
ক্রিয়াবানদের এই বিশ্বাস দৃঢ় করতে হবে যে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় কোন কারনে আমরা জন্ম নিয়েছি। ক্রিয়াবানদের মধ্যে অনেকে বলে – রোজই তো করছি, কিন্তু কোন প্রেরণা পাচ্ছিনা। আসলে সাধারন ভাবে ক্রিয়াযোগ কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধি বা মুক্তির জন্য নয় এই পদ্ধতি হচ্ছে “ভগবানের শক্তি, আলো ও চেতনা নামিয়ে এনে অতিমানবিক অবস্থায় পৌঁছাবার চেষ্টা করা”(শ্রীঅরবিন্দ)।
যোগের মূল নীতি যা বলা আছে – তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে বিশ্বাস, ব্যাকুল ইচ্ছা, সমর্পণ আর অপরিগ্রহীতা। সমস্ত জগতের দেহধারী অবস্থা বিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েই আসে, কিন্তু জীব তার নিজস্ব গণ্ডির মধ্যেই থাকতে চায়; যে কারনে সে জন্মালো – মায়ার আবেশে সেসব সে ভুলে যায়। সে অহংকারী ও ক্ষমতার দাস হয়েই থাকতে চায়। প্রত্যেক মানুষই চায় সুখ, আর এই চাহিদা থেকেই আসে শোক ও দুঃখ।
ক্রিয়াবানের লক্ষ্য রাখা উচিত দিব্যচেতনার দিকে। দিব্যভাবে ভাবিত মন সততাকে বজায় রাখলে দিব্যজ্ঞানের উদ্ভব হয়। নিজের বিশ্বাস বজায় রেখে কোন শর্ত, দরাদরি বা ভনিতার উর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা করতে হবে; অপরে কি করছে ভেবে নিজেকে বিচারক হওয়ার বা সমালোচনা করবার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে। যে কারনে ক্রিয়া যোগের সন্ধান পেয়েছ, তার সাহায্যে আত্মচেতনাকে দিব্যভাবের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো।
এই সব কথা যিনি মানুষকে বলেন তিনি হলেন ‘গুরু’, যারা এই সব কথা শুনে প্রভাবিত হন তারা হচ্ছে শিষ্য। গুরু শিষ্যের সম্বন্ধে ওতপ্রতোভাবে যুক্ত। গুরু ও শিষ্যের মধ্যে প্রথম যে শর্ত থাকা উচিৎ তা হলো আনুগত্য। আমি অর্থাৎ অহংকারী চেতনা যা দিব্যজ্ঞানের থেকে শিষ্যকে দূরে রাখে, সে অনুগত হওয়া কি বুঝতে পারে না। আমিত্ব হচ্ছে আত্মার এক আবরণ – যা নিজের ও বিশ্বের সম্বন্ধে এক ভুল ধারণা তৈরী করে ও শুদ্ধ চৈতন্যকে ঢেকে রাখে।
শিষ্যত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ গুন হচ্ছে গুরুর প্রতি অনুগত থাকা। অনুগত জিনিসটা ঠিক কি এই ধারণাটাই অনেকের বোধে আসে না। অনেকে অনুগত হওয়া মানে সঙ্কীর্ণতা ভাবে। আনুগত্য সঠিক কি? এর উত্তর হচ্ছে বিক্ষিপ্ত মন, সারাদিনের বাহ্যিক কর্মের চেষ্টা ও কুঅভ্যাসকে ত্যাগ করে সঠিক লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া।
সঠিক শিষ্য হতে চাইলে বিক্ষিপ্ত ভাবনা ও নিজের খামখেয়ালি ইচ্ছাকে গুরুর কাছে সমর্পণ করতে হবে। ক্রিয়াদান করার সময় প্রতিজ্ঞা করানো হয় এইসব “আমি মেনে চলব”, কিন্তু অহংকার এই অনুশাসন সব সময় মেনে চলতে দেয় না। গুরুর নির্দেশ মত প্রত্যহ যদি এসব পদ্ধতি অভ্যাস করা হয় তবে ক্রিয়াবানের মানসদৃষ্টি স্বচ্ছ হতে শুরু করে। যে সমস্ত চিন্তাভাবনা বা কর্মে তার ভুল হতো, এখন সে সেই সমস্ত ঘটনায় আর যুক্ত হয় না; ভালো ও মন্দের তফাৎ সে সহজেই করতে পারে। গুরুদেব সব সময়েই শিষ্যকে নজর রাখেন। উপযুক্ত সময়ই তাঁকে নির্দেশ দেন নিজস্ব চিন্তাধারায় এগিয়ে চলতে।
রূপান্তরিত শিষ্য এই ভাবে শ্রদ্ধাযুক্ত, মহৎ ও নম্র হয়। কাউকে সম্মান করতে শিখলে আসে শ্রদ্ধা, আর এই শ্রদ্ধা’ই আনে নম্রতা।
ক্রিয়াবান যখন গুরুকে ঈশ্বরের প্রতিনিধিরূপে এবং মানুষকে তাঁর প্রতিকৃতি হিসাবে সম্মান জানাতে শিখবে, তখন থেকে ক্রিয়াবানের আধ্যাত্মিক উন্নতিলাভ হতে আরম্ভ করে।
গুরুদেবের দেওয়া পদ্ধতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নিয়ে অভ্যাস করতে হবে। প্রথম প্রথম হয়ত অনেকের সঠিক ভাবে হবেনা, তবে সংযমের সাথে অভ্যাসে ফল পাওয়া যায়। ক্রিয়াবানরা / ভক্তরা অনেকেই ভাবেন গুরুকরন করা মানেই সবই তিনি কৃপা করে করে দেবেন। শাস্ত্রবাক্য সুন্দর ভাবে এটা সাধককে বুঝিয়ে দিয়েছেন আধ্যাত্মশক্তি লাভ করতে গেলে একজন সাধক বা ভক্তের এক চতুর্থাংশ চেষ্টা থাকতে হবে গুরুর কৃপা হিসাবে আরও এক ভাগ পাওয়া যেতে পারে কিন্তু পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে গেলে ভগবানের আশীর্বাদ পেতে হবে। যোগীর প্রচেষ্টার ফল ও সমপরিমাণ গুরুকৃপার ফলে অর্ধেক পূর্ণতা আসে। ভগবান ও গুরুর মিলিত আশীর্বাদেই আসে পূর্ণতা।
ভগবানের মত গুরুশক্তিও সব স্থানে বিরাজমান। প্রতিটি ভক্ত, শিষ্য ও ক্রিয়াবানের মনের কথা তিনি জানেন। গুরুদেব বলতেন অনিচ্ছুক ক্রিয়াবানদের সঙ্গে আমি সঠিক ভাবে যুক্ত হতে পারি না, কিন্তু যারা আমাকে তাদের শাসন করার অধিকার দিয়েছে বা আমার পরামর্শ চায় আমি তাদের সঙ্গে আপনা থেকেই সবসময় যুক্ত হয়ে থাকি। গুরু শিষ্যের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকার ফলে ভূত ভবিষ্যৎ তিনি জানতে পারেন সেই মত শিষ্যকে পরিচালনা করেন। এই পরিচালনা হয় আত্মার শক্তির সাহায্যে, গুরু তাঁর শক্তির(আত্মার) ব্যবহার করেন শিষ্যের জন্য।
শিষ্য, সঞ্চারিত গুরু শক্তির আধার হতে চাইলে তাকে পবিত্র, জানার ইচ্ছা ও অধ্যবসায়ে থাকতেই হবে। যখন গুরু ও শিষ্য আশ্চর্য ভাবের অধিকারী ও আত্মজ্ঞানী হন, তখনই আধ্যাত্মিক ভাব চরমে প্রকাশ পায়। এরূপ মানুষই প্রকৃত গুরু ও শিষ্য হন।
গুরুশক্তি সবযায়গাতেই প্রকাশ পায়। তাঁর শিক্ষার বিষয়, নানারকম ভাবে সাহায্য ও তাঁর আশীর্বাদ শুধুমাত্র সাময়িক ভাবে কাজ করে তা নয়, শিষ্যের ইচ্ছায় চিরকাল তার অনুভূতিতে গুরু শক্তির প্রকাশ সে অনুভব করে। ক্রিয়াযোগ দীক্ষার সময় থেকে গুরু ও শিষ্যের মধ্যে এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার আদান প্রদান হয়, এই আদান প্রদানের মধ্যে যেমন থাকে চিরন্তন ভালোবাসা ও আনুগত্য, তেমনি থাকে শর্ত, যে শর্ত অভ্যাসের ফলে গুরু ও শিষ্যের মধ্যে স্থাপিত হয় এক চেতনাশক্তির সম্বন্ধ।